কীভাবে সহজে সঞ্চয় করবেন বা সঞ্চয় করার সহজ উপায়




ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য এখন থেকেই আপনার টাকা জমানো শুরু করা উচিৎ । কেন জমাতে হবে তা কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না জানি ।

কিন্তু তা কিভাবে শুরু করবেন তা হয়তো অনেকের জানা নাই বা থাকলেও অবহেলা করছেন । এ অভ্যাস অবশ্যি বর্জনীয় । টাকা সঞ্চয়ের জন্য কিছু কৌশল অবশ্যি গ্রহন করতে হবে । এবং তা মেনেও চলতে হবে । নিজের ভবিষ্যতকে নিশ্চিত ও নিরাপদ করতে সঞ্চয় করা অনিবার্য , তা যত অল্প পরিমানেই হোক না কেন ।সঞ্চয়ের কিছু প্রাথমিক ও কার্যকর কৌশল -

১. আপনার ধার পরিশোধ করে ফেলুন : সঞ্চয় শুরুর প্রথম ধাপ হলো নিজের সব ধার দেনা শোধ করে ফেলা । পরবর্তীতে যে টাকা প্রতিমাসে ধারের অংশ হিসেবে পরিশোধ করতেন তা জমানো শুরু করে দিন ।

২. সঞ্চয় করুন : প্রতিদিন সামান্য করে হলেও সঞ্চয় করুন । এভাবে দ্রুত অনেক টাকা জমে যাবে । ভাংতি পয়সা গুলো আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিবেন ।সিগারেট সহ বাড়তি কিছু খরচ ঝেড়ে ফেলুন । মাস শেষে দেখবেন আপনার হাতে অল্প হলেও কিছু জমেছে ।

৩. বাড়তি আয়গুলো জমিয়ে রাখুন : হয়তো সম্প্রতি আপনি ওভার টাইম কাজ করেছেন , এজন্য একটা বিল পেয়েছেন , বোনাস বা অন্য কোন ভাবে আয় করেছেন , এটা কিন্তু আপনার নিয়মিত আয়ের অংশ নয় - কাজেই এটা জমাতে ভুল করবেন না ।

৪. কর্মক্ষেত্রে সঞ্চয় করুন : যদি আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিরা পেনশন স্কীমে টাকা জমায় , তবে সেখানে অংশ গ্রহন করুন । অনেকে এভাবে টাকা জমাতে ভয় পায় , কারন অনেক সময় এটা নিরাপদ হয় না । এর বিকল্প হিসাবে আপনি বিভিন্ন বীমা প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী হিসাব খুলে টাকা জমা রাখতে পারেন । যার চার্জ অনেক কম এবং টাকার পরিমান একটি নির্দিস্ট অংকে না এলে এটা তোলা যায় না । যার ফলে টাকাটা খরচ হয়ে যাবার ভয় থাকে না ।

৫. নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে শিখুন : সঞ্চয় করার সিদ্ধান্ত নেবার পর এটা নিশ্চিত করে ফেলুন যে এটা আপনি করবেনই । এরপর দেখুন এটা স্বয়ংক্রিয় ভাবে হচ্ছে । অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা কমিয়ে ফেলতে চেস্টা করুন ।

৬. সঞ্চয়ের পরিমানটা আরেকটু বাড়ান : আপনি যতটুকু সঞ্চয় করছেন , তার পরামানটা বাড়ানোর চেস্টা করুন । আপনার সঞ্চয়ের পরিমানটা ক্রমান্বয়ে বাড়াতে থাকুন । এভাবে আপনার সঞ্চয়ের পরিমান আশানুরুপ হবে যাতে হয়তো প্রয়োজনীয় এমন কিছু কিনতে পারবেন যা এতদিন সম্ভব ছিলোনা ।
LihatTutupKomentar