অফিসে কাজ আদায় করার কিছু কৌশল



অফিসে অধস্তন কর্মীদের সাথে আন্তরিকতা আর ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করিয়ে নেয়া সম্ভব । এজন্য কৌশল হতে পারে সদ্ব্যবহার , শৃঙ্খলা আর সবার প্রতি সুনজর । আফিস ব্যবস্থাপনার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ন কাজ হলো অধস্তনদের কাজের প্রতি উৎসাহিত করা অর্থাৎ কর্মীদের যদি কাজের প্রতি উৎসাহিত করা যায় তবে যে কোন কাজে সাফল্য আসবেই । একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও ব্যর্থতা উভয় নির্ভর করে অধীনস্তদের উপর । তাদের সাথে সংযত আচরন , আন্তরিকতা , একটু সুযোগ সুবিধা আপনার প্রতিষ্ঠানটিকে দিতে পারে আকাক্ষিত সাফল্য ।

১ . কর্মীদের উপযুক্ত কাজের পরিবেশ সৃস্টি করতে হবে ।

২ . খুজে বের করুন কর্মীদের কী কী অভাব অভিযোগ রয়েছে ।

৩ . কর্মীর পেশাদারি দক্ষতার মূল্যায়ন করতে হবে ।

৪ . কর্মীদের সাথে আস্তার ভাব গড়ে তুলুন ।

৫ . প্রতিষ্ঠানে সুস্পষ্ট জবাবদিহিতা থাকতে হবে ।

৬ . কর্মীদের ন্যায্য সম্মানি দিতে হবে ।

৭ . আর্থিক নিরাপত্তা কর্মীদের প্রধান দাবিগুলোর একটি । তাই আর্থিক নিরাপত্তা দিতে হবে আর আর্থিক নিরাপত্তা হল - প্রভিডেন্ট ফান্ড , গ্র্যাচুইটি , পেনশন , বীমা ইত্যাদি ।

৮ . বেতনের বিপরীতে বা প্রভিডেন্ড ফান্ড থেকে মাঝে মাঝে কর্মীদেরপ্রয়োজনে অগ্রিম বা ঋণ নেয়ার সুযোগ দিতে হবে । সুযোগ সুবিধা পেলে কর্মীদের মনের অভাব পূরন হয় এবং তাতে কাজের প্রতি উৎসাহ বেড়ে যায় ।

৯ . বাসস্থান , পরিবহন , চিকিৎসা , ইত্যাদি সুবিধা দিতে হবে ।

১০ . কার্যক্ষেএ বিভিন্ন ধরনের পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে অর্থাৎ একটি ভালো কাজের পুরস্কার পেলে যে কেউ আবারো ভালো কাজ করার উৎসাহ পাবে ।

১১ . কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা ভোগ করার ইচ্ছা মানুষের সব সময় থাকে ফলে কর্মী যে কাজটি করছেন সেখানে তার ক্ষমতা ও অধিকার বৃদ্বি পেলে কাজটির প্রতি দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায় ।

১২ . কর্মস্থলে নিরাপত্তা পেলে কর্মিদের আলাদা মানসিক চাপ থাকে না ফলে কাজের গুনগত মান বৃদ্বি পায় ।

১৩ . অধস্তনদের প্রতি ভাল ব্যবহার ও প্রশংসা কাজের প্রতি তাদের আগ্রহী করে তুলবে ।

১৪ . কোন কাজে ভুল হলে বা অপরাধ হলে সুবিচার করতে হবে ।

১৫ . কর্মীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা , ক্লাব বা সমিতি করার সুযোগ ,বিভিন্ন আনন্দদায়ক অনুষঠানের আয়োজন ইত্যাদি বিষয় গুলির দিকে খেয়াল দিতে হবে ।

১৬ . ছয় মাস বা বছরে একবার করে কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন করা যেতে পারে ।

LihatTutupKomentar