‘এখন ভোটারদের মুখ দেখাব কেমনে, আমি আর বাঁচুম না’



আব্দুল আলী বেপারীর স্বপ্ন পূরণ হলো না। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে প্রার্থিতা বাতিল হয় আব্দুল আলী বেপারীর। পরে কান্নাকাটি করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।


রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে তার প্রার্থিতা বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আকতার।


সূত্রমতে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারের মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ জমাদানের বিধান থাকলেও সেই শর্ত পূরণ না করায় মনোনয়ন বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।


প্রার্থিতা বাতিলের কথা শুনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে মাটিতে পড়ে কান্নায় লুটিয়ে পড়েন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে তাকে সান্ত্বনা দেন এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের পরামর্শ দেন।


হলফনামা সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল আলী বেপারী (৬০) মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বেড়াডাংগা এলাকার মৃত কিয়ামুদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক। কৃষিকাজের মাধ্যমে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং তার কাছে নগদ ২ লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। মো. আব্দুল আলী বেপারীর শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি স্বশিক্ষিত।


পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো. আব্দুল আলী বেপারী ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে ঘিওর উপজেলার সিংজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন এবং পরাজিত হন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।


মাটিতে লুটিয়ে কান্নায় ভেঙে আব্দুল আলী বেপারী বলেন, আমি এখন আমার ভোটারদের মুখ দেখাব কেমনে, আমি আর বাঁচুম না। আমি ভোট দিতে না পারলে মরুম, আমার জীবন রাখুম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আমার ভোট আমাকে দিয়ে যেন মরতে পারি। আমার বিশ্বাস আছে, মানুষ আমাকে ভোট দেবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাব। যেকোনো চক্রান্তের মাধ্যমে আমার নমিনেশন বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি এই চক্রান্ত বিশ্বাস করি না। আমাকে আমার ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।

LihatTutupKomentar